জানা কথা। বর্ষাকালে পায়ের ওপর দিয়ে ধকল যাবে বেশি। কাদামাটি পার হয়ে আপনাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতে হয় পা জোড়াকেই। গড়িমসি করে অনেকেই হয়তো শুকনো কাপড় দিয়ে পা মুছে কাজ শেষ করতে চান। অধিকাংশ ক্ষতি তখনই হয়ে যায়। রোগজীবাণু আসন গেড়ে বসতে পারে। বছরের এই সময়ে পায়ের যত্নে দিতে হবে বাড়তি সময়। পা থাকবে সুন্দর ও রোগজীবাণুমুক্ত।
বৃষ্টি হোক বা না হোক, বাড়ি ঢুকেই পা ধুয়ে ফেলুন। সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি পা পরিষ্কার রাখা। কাদা লাগলে যত দ্রুত সম্ভব সেটা পরিষ্কার করে ফেলুন। রূপবিশেষজ্ঞ শারমীন কচি জানান, সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন একটু সময় নিয়ে পা পরিষ্কার করুন। পা পরিষ্কার করার সময় এমন কিছু উপকরণ ব্যবহার করা উচিত, যাতে জীবাণুর সংক্রমণ না হয়। রাতের বেলা সহনীয় গরম পানিতে ২ চা-চামচ লবণ, আধা কাপ লেবুর রস ও শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন ভালোভাবে। লবণ ও লেবুর রস অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করবে। ১৫-২০ মিনিট পর নরম ব্রাশ দিয়ে পা ঘষে নিন। নখের চারপাশে ও গোড়ালির দিকে মনোযোগ দেবেন বেশি। পরিষ্কার পানি দিয়ে পা ধুয়ে জলপাই তেল মালিশ করুন। ফলাফল পাবেন চারটি—রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে, সারা দিনের ক্লান্তি চলে যাবে, সতেজ বোধ করবেন ও ঘুম ভালো হবে।
সপ্তাহে এক দিন প্যাক ব্যবহার করুন। হতে পারে মুলতানি মাটি বা চন্দনের প্যাক। দুধ, হলুদ, বেসন ও মধু মেশালেও দারুণ একটি প্যাক হবে। ত্বক উজ্জ্বল হবে, পায়ের ছোপ ছোপ দাগ দূর হবে। সবশেষে পায়ে ক্রিম লাগাতে হবে।
এ সময়ও অনেকের পা ফেটে যায়। ফাটা অংশে কাদা লেগে গেলে পরিষ্কার করার সময়ও ঝামেলা হয়। রাতে পায়ে পেট্রোলিয়াম জেলির প্রলেপ লাগিয়ে পাতলা মোজা পরে ঘুমিয়ে পড়ার পরামর্শ দিলেন শারমীন কচি। পরপর সাত দিন করলে পা ফাটা দূর হয়ে যাবে।